বিট কয়েন দ্য ভার্চুয়াল কারেন্সি

বর্তমানে একটা বিটকয়েনের মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ১৬ লাখ টাকার বেশি।চলুন জেনে নেওয়া যাক এই বিট কয়েন কি কেন ও কিভাবে কাজ করে।

বিট কয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি ভার্চুয়াল মুদ্রা যেটার ফিজিক্যাল কোন existence নাই।এটিকে ক্যাশের (cash) অনলাইন ভার্সন ও বলা যেতে পারে। বিট কয়েন দিয়ে পণ্য বা সেবা ক্রয় করা যায়। তবে এখনো তেমন প্রচলন না হওয়ায় অনেক shop বিট কয়েন গ্রহণ করে না এবং অনেক দেশে এটা নিষিদ্ধ।প্রতিটা বিটকয়েন কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের একটা ডিজিটাল ওয়ালেট অ্যাপ এ সংরক্ষিত থাকে। কেউ আপনাকে আপনার ওয়ালেট এ বিট কয়েন পাঠাতে পারে বা আপনিও পাঠাতে পারবেন। প্রতিটা transaction  ব্লকচেইন নামক একটি পাবলিক লিস্টে রেকর্ড করা হয়। যে কেউ এটা দেখতে পারে। উদ্দেশ্য হলো  বিটকয়েন কপি করা বা লেনদেন বাতিল করা বা এমন অন্যান্য fraud প্রতিরোধ করা।

বিট কয়েন ৩ ভাবে পাওয়া যায়।

১) রিয়েল কারেন্সি এক্সচেঞ্জ এর মাধ্যমে।

২) পণ্য বিক্রি করে বিট কয়েনের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ।

৩) কম্পিউটারের মাধ্যমে বিটকয়েন ক্রিয়েট করা।

বিট কয়েন ক্রিয়েট করার জন্য কম্পিউটারকে বিট কয়েন লেনদেন প্রসেস করার উপযোগী করে সেট আপ করতে হয়। লেনদেন প্রসেস করে দিতে পারলেই মূলত reward হিসাবে বিটকয়েন পাওয়া যায়। এর জন্য প্রচুর পাওয়ারফুল কম্পিউটার দরকার হয় এবং প্রক্রিয়াটি অনেক সময়, শ্রমসাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। তাছাড়া শুরু করলে একটা বিটকয়েন পেতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ হয় যার কারণে বেনিফিটের চেয়ে কস্ট বেশি হয়ে যেতে পারে।

বিট কয়েন যেই উদ্দেশ্যে আবিস্কার করা হয়েছিল তা হলো এটি অন্য কোন মুদ্রার মতো সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। ভার্চুয়াল যে কোন অ্যাপ; যেমন বিকাশে মানি ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে থার্ড পার্টি মধ্যস্ততা করে যা লেনদেনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু বিট কয়েনের ক্ষেত্রে আপনি সম্পূর্ণ unanimously লেনদেন করতে পারবেন কোন থার্ড পার্টির সাহায্য ছাড়াই। যদিও সব লেনদেন রেকর্ড হয় কিন্তু কেউ জানবে না আপনার অ্যাকাউন্ট কোনটা যদি আপনি তাদের না বলেন। প্রতিটা লেনদেন রেকর্ড থাকার কারণে জাল কপি বা fraud করা প্রায় অসম্ভব। তাই লেনদেনে নিরাপত্তা অনেক বেশি। তবে বিট কয়েন হারিয়ে ফেললে বা ডিলিট করলে আর কখনো ফেরৎ পাওয়া যায় না। বিট কয়েন স্টোর করে রাখার জন্য অনেক ওয়েবসাইট আছে। প্রতারণা করে কিছু ওয়েবসাইট আপনার বিটকয়েন আত্মসাৎ করতে পারে।

বিট কয়েনের দাম কখনো অনেক বাড়ে আবার অনেক কমেও যেতে পারে যার কারণে এটি ঝুঁকিপূর্ণ। এতে যেমন প্রচুর লাভ হওয়ার সম্ভাবনা আছে তেমনি লসের ঝুঁকি ও বিদ্যমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *