যে ক্লাবের সাথে নাড়ির বন্ধন সেই বার্সেলোনা ছেড়ে যাচ্ছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর লিওনেল মেসি। মঙ্গলবার রাতে যেন করোনা মাহামারির চেয়েও দ্রুত ছড়িয়েছে এই খরব। স্বভাবতই মেসির এই সিদ্ধান্ত হৃদয় ভেঙ্গেছে বার্সা ভক্তদের। টিম ম্যানেজমেন্টের বিপক্ষে বিক্ষোভও করেছেন তারা। কিন্তু কেন এই নাড়ির বন্ধন ছিন্ন করার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লিওনেল মেসি?
২০১৭ সালে ক্লাবের সাথে চুক্তি নবায়ন করে বলেছিলেন, আমি আমার জীবনের পুরোটাই বার্সেলোনার সাথে থাকতে চাই। এই ক্লাবটি আমার বাড়ি। আমি আমার ক্যারিয়ারের ইতিও এই ক্লাবেই টানতে চাই। এবং এখন পর্যন্ত সবকিছু সঠিক পথেই এগোচ্ছে।
কিন্তু মাত্র তিন বছরেই বদলে গেলো দৃশ্যপট। একাধিক কারণ আলোচনায় আসছে। তবে মোটা দাগে বললে ক্লাব সভাপতি বার্তোমেউয়ের সাথে দ্বন্দ্বের জেরেই এই সিদ্ধান্ত।
মেসির চুক্তি নবায়নের বছরই ক্লাবে তার কাছের বন্ধুদের একজন নেইমারকে পিএসজির কাছে ছেড়ে দেয় বার্সেলোনা। তবে সমস্যার শুরু এখানে নয়। ২০১৯ সালে নেইমার পারিশ্রমিক কমিয়ে হলেও বার্সার ফিরতে চান। মেসি নিজেই ক্লাব সভাপতি বার্তোমেউকে নেইমারকে ফেরান আহবান জানান। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দেবার পরও নেইমারকে দলে নেয়নি বার্সেলোনা সভাপতি। উল্টো তার মতের বিরুদ্ধে নেয়া হয় আতোয়ান গ্রীজম্যানকে।
দলবদল নিয়ে মেসির সাথে বার্সার দ্বন্দ্ব এখানেই শেষ নয়। মৌসুমের শুরুতে লম্বা ইনজুরিতে পড়া লুইস সুয়ারেজের বিকল্প হিসেবে বিশ্বমানের স্ট্রাইকার চেয়েও পাননি মেসি।
গেল দুই মৌসুমে বার্সার মাঝমাঠের অন্যতম কান্ডারি ছিলেন আরেক ব্রাজিলিয়ান আর্থার মেলো। কিন্তু মেসির মতের বিরুদ্ধে ২৪ বছর বয়সি মেলোর বিনিময়ে রিয়াল মাদ্রিদের ভক্ত মিরালেম পিয়ানিচকে য়্যুভেন্টাসের ডেরা থেকে দলে নেয় বার্সেলোনা।
মেসির পিঠে সবচেয়ে বড় ছুরি মেরেছেন নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যান। দায়িত্ব নিয়েই মেসির সবচেয়ে কাছের বন্ধু লুইস সুয়ারেজকে বলে দিয়েছেন ‘বাই বাই’। স্প্যানিশ গণমাধ্যমে গুঞ্জন একাদশে মেসির জায়গাও নিশ্চিত নয়, এমন কথাও বলেছেন কোম্যান।
এছাড়াও, ২০১৯ সালে লুইস এনরিকের বিদায়ে পর কোচ নিয়োগ নিয়েও একমত হতে পারেনি মেসি-বার্সা। এই সকল বিরোধের জের ধরেই ১৯ বছরের সম্পর্ক আজ ভাঙ্গার দারপ্রান্তে।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
Comments
0 comments